বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ।
বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এ বৈঠকে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সম্ভাব্য পরিবর্তিত পরিস্থিতি, দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা, এবং বাংলাদেশের সামনের পথ নিয়ে আলোচনা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, দেশ কোন পথে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে কী ঘটতে পারে—এসব বিষয়ে বিএনপির পর্যবেক্ষণ জানতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাঠামো যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, সেখান থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে, সে বিষয়ে তিনি আমাদের মতামত জানতে চেয়েছেন। '
আমীর খসরু আরও বলেন, 'আমরা বারবার বলেছি, বাংলাদেশ থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাচার হয়েছে। এত টাকা পাচার করা হয়েছে যে দেশের রিজার্ভ এখন একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে। দেশের প্রতিটি নাগরিক এই অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব অনুভব করছেন।' সুইজারল্যান্ড এই পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান তিনি। 'বাংলাদেশ সরকার এই অর্থ ফেরত আনার জন্য যেকোনো উদ্যোগ নিলে, তারা তা সমর্থন করবে এবং সহযোগিতা করবে। এটা একটি ভালো খবর,' তিনি যোগ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে, এ কথা আমরা ১৬-১৭ বছর ধরে বলে আসছি। অর্থাৎ জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের তাদের কাছে জবাবদিহি থাকতে হবে। এটাই গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র। এখানে কোনো মতবিরোধের সুযোগ নেই। আমরা বলেছি, এটা একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে, যারা এই কাজগুলো করবে। আমরা কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিইনি, বরং যৌক্তিক সময় দিয়েছি, যাতে একটি নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি এবং তা অব্যাহত রাখব। কারণ, শেষ পর্যন্ত জনগণের মালিকানা জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দিতে হবে।'
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
0 Comments